প্রাইজবন্ড ড্র রেজাল্ট মিলাতে প্রাচুর্য্য ডট কম
প্রাইজ বন্ডের বিষয়ে দেশের মানুষের মনে একটি ধারনা বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছে যে কেহ কোনদিন প্রাইজ বন্ডের পুরুস্কার জিতেনি বা কারো কোন নাম্বার ড্র’তে উঠে নাই।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রাইজবন্ড চালু হবার পর থেকে তিনমাস পর পর নিয়মিতই ড্র অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ৪ কোটি ৪০ লাখ পিস প্রাইজবন্ড রয়েছে। বছরে চার বার প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হলেও যাদের কাছে প্রাইজবন্ড আছে তারা ড্র’র রেজাল্ট মিলিয়ে দেখে না। এই মিলিয়ে না দেখার পেছনে কারন হলো সচেতনার
অভাব। বছরে কখন কখন যে ড্র হয় এই খবর তাদের কাছে থাকে না, বা থাকলেও ড্র’র রেজাল্ট সংগ্রহ করতে পারে না অথবা ড্র’র রেজাল্টের সাথে নিজের প্রাইজবন্ডের নাম্বার মিলিয়ে দেখা কষ্ঠসাধ্য তাই মিলিয়ে দেখে না। তাই অনেকেই তাদের প্রাইজবন্ডের সাথে ড্র’র রেজাল্ট মিলে যাওয়া সত্তেও নম্বর মিলিয়ে নিতে গাফিলতি করেন। ফলে কাংখিত পুরস্কারও মিলে না।
তাই আপনার কাছে প্রাইজ বন্ডে ইনভেষ্ট করার মতো প্রয়োজনীয় অর্থ ও মানষিকতা সবই আছে কিন্তু ড্র এর রেজাল্ট মিলানোর ঝামেলায় আপনি প্রাইজ বন্ড কেনায় উৎসাহ বোধ করেন না। গত কয়েক বছরে প্রাইজবন্ড ড্রয়ের পুরস্কার বিশ্লেষণে দেখা গেছে পুরস্কার দাবী করেন মাত্র ৫০% বিজয়ী, ফলে অবিলিকৃত পুরুস্কারের অর্থ সরকারের কোষাকারে ফেরত যায়।
বর্তমান সরকারের ডিজিটাল স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে এবং সরকারের এই প্রাইজবন্ড পরিসেবাকে জনপ্রিয় করতে অথবা জনগনের মনে যে ভ্রান্ত ধারনা আছে সেটা দুর করতে প্রাচুর্য্য.কম নিয়ে এসেছে একটি ভলেন্টারী সেবা।
প্রাচুর্য্য ডট কম প্রাইজবন্ড মিলানোর সেই ঝামেলাকে অত্যন্ত সহজ ভাবে সমাধান করেছে। আপনার প্রাইজবন্ডের নাম্বার এই ওয়েবসাইটে দিয়ে রাখলে নতুন ড্র সহ বিগত দুই বছরের যে কোন ড্রয়ের ফলাফলের সাথে আপনার কোন নম্বর বিজয়ী হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা আপনাকে এস.এম.এস ও ইমেইল এর মাধ্যমে তা জানিয়ে দিবে।
রেজিষ্ট্রিশন পদ্ধতিঃ
প্রথমে আপনাকে আপনার ব্যাবহৃত ফোন নম্বর ও ই-মেইল এড্রেস দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়।
কিভাবে প্রাইজ বন্ডের নাম্বার এনলিষ্ট করবেন??
আপনি Prachurja.com এই ওয়েব সাইটে লগইন করলে বাম দিকের প্যানেলে মাই ড্যাশবোর্ডে Add New Prizebond লেখাটি দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করলে প্রাইজবন্ড এন্ট্রি ফরম ওপেন হবে। সেখানে দুইটি অপশন আছে
Single Number Entry: প্রাইজ বন্ডের নাম্বার গুলি যদি এক সিরিয়ালে না থাকে তখন এই অপশন ব্যাবহার করতে হয়।
Multiple Numbers Entry: প্রাইজ বন্ডের নাম্বার গুলি যদি এক সিরিয়ালে থাকে তখন এই অপশন ব্যাবহার করতে হয়।
প্রাইজবন্ডের নাম্বার এন্ট্রির পর বিগত দুই বছরের যে কোন ড্র’র সাথে আপনার কোন নাম্বার মিলে যায় তাহলে আপনি আপনার ড্যাশবোর্ডে তা দেখতে পাবেন।
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হয় বছরে চারবার: ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর। ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে চেয়ারম্যান করে গঠিত একটি কমিটি ড্র অনুষ্ঠান করে থাকে। তবে কেনার দুই মাস পার হওয়ার পর প্রাইজবন্ড ড্রর আওতায় আসে।
ড্র অনুষ্ঠানের দুই বছর পর্যন্ত পুরস্কারের টাকা দাবি করা যায়। এর মধ্যে কেউ দাবি না করলে পুরস্কারের অর্থ তামাদি হয়ে সরকারি কোষাগারে ফেরত যায়।
পুরুস্কারের মূল্যমানঃ
প্রাইজবন্ডে প্রতি সিরিজের জন্য ৪৬টি পুরস্কার রয়েছে, যার মূল্যমান ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। প্রথম পুরস্কার একটি ৬ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার একটি ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার দুটি ১ লাখ টাকা করে, চতুর্থ পুরস্কার দুটি ৫০ হাজার টাকা করে এবং পঞ্চম পুরস্কার ৪০টি ১০ হাজার টাকা করে।
জেতার পর মূল বন্ডসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বিজয়ীকে পে-অর্ডার দেওয়া হয়। তবে পুরস্কারের টাকার ওপর কর দিতে হয় ২০ শতাংশ।
প্রাইজবন্ড বিক্রি করে সরকার সরাসরি জনগণের কাছ থেকে ঋণ নেয়। ভারত ও পাকিস্তানে ১০০ থেকে ৪০ হাজার রুপি মূল্যমানের আট ধরনের প্রাইজবন্ড থাকলেও বাংলাদেশে ২০ বছর ধরেই রয়েছে শুধু ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড।
বর্তমানে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। একক সাধারণ পদ্ধতিতে (প্রতিটি সিরিজের জন্য একই নম্বর) ড্র পরিচালিত হয়। পুরস্কার পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক বা যে কোন তফসিলী ব্যাংক বা ডাকঘরে নির্ধারিত ফরমে পুরস্কার দাবি করতে হয়। জেতার দুই বছর পর্যন্ত পুরস্কার দাবি করার সুযোগ থাকে। দুই বছরের মধ্যে পুরস্কার দাবি না করলে তামাদি হয়ে সরকারের কোষাগারে জমা হয়ে যায়। দাবি করার দুই মাসের মধ্যে পুরস্কার দিয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ। প্রাপকের ব্যাংক হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে পুরস্কারের অর্থ দেয়া হয়।
প্রাইজবন্ডের পুরস্কার পরিশোধ পদ্ধতিতে পরিবর্তনঃ
প্রাইজবন্ডের পুরস্কার পরিশোধ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিসের মাধ্যমেই প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের অর্থ পরিশোধ করা হবে।
পুরস্কারের অর্থ পরিশোধ শীর্ষক সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রাইজবন্ডের পুরস্কার বিজয়ীদের দাবি করা পুরস্কারের অর্থ স্বল্প সময়ে এবং সহজে তাদের ব্যাংক হিসাবে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রাইজবন্ডের পুরস্কার পরিশোধ পদ্ধতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিসের মধ্যে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।
অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল অফিসের মাধ্যমেই প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের অর্থ পরিশোধ করা হবে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রাইজবন্ডের পুরস্কার বিজয়ীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পুরস্কারের দাবিপত্র সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসে পাঠাতে সব তফসিলী ব্যাংককে তাদের শাখাগুলোকে নির্দেশনা পাঠাতে বলা হয়েছে।
প্রাইজবন্ড কিনুন, পুরুস্কার জীতুন এবং জীবনে প্রাচুর্য্য আনুন।
info@prachurja.com