রাজধানীতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীকে ২৯টি স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গত ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ সুপারিশ করা হয়েছে। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের মধ্যে আরও সমন্বয় প্রয়োজন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আগের মতো সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে কর্মপরিকল্পনা বহুলাংশে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার অধিকতর উন্নতি সম্ভব হবে বলেও সুপারিশে উল্লেখ করা হয়।

২৯ কর্মপরিকল্পনা:

১. বাস স্টপেজ উন্নতকরণ: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩০টি বাস স্টপেজের যাত্রী ছাউনি, টিকেট কাউন্টার এবং বাস থামার রোড মার্কিংয়ের বিষয়ে এর আগে অনুরোধ করা হয়েছিল। এবারও এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

২. অনস্ট্রিট পার্কিং: অনস্ট্রিট পার্কিংয়ের বিষয়ে পূর্বে বিভিন্ন প্রস্তাবনার আলোকে উভয় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু স্থান ইজারা দেওয়া হয়। ডিএমপি এবং সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আরও নতুন স্থান চিহ্নিত করে রোড মার্কিং করে ইজারা ভিত্তিতে অনস্ট্রিট পার্কিংয়ের পরিমাণ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

৩. রোড ডিভাইডার ঊর্ধ্বমুখী করণ: বিমানবন্দর সড়কে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের রাস্তা পারাপার বন্ধে রোড ডিভাইডার উঁচু করার কথা বলেছে ডিএমপি।

৪. গণপরিবহনের শৃঙ্খলা: রাজধানীর বাস সার্ভিসে শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে বাসগুলো নির্দিষ্ট স্টপেজে ফুটপাত ঘেঁষে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করবে, চলার পথে দরজা বন্ধ করে চলাচল করবে, যাত্রীরা প্রতিটি কাউন্টার হতে টিকেট ক্রয় করে লাইন দিয়ে বাসে উঠবে।

৫. রোড মার্কিং নিশ্চিতকরণ: সড়কের ট্রাফিক শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট রোড মার্কিং (স্টপলাইন, জেব্রা ক্রসিং, ল্যান মার্কিং, এরো মার্কং ইত্যাদি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোড মার্কিং মুছে গেলে নিয়মিতভাবে সিটি করপোরেশন রোড মার্কিং পুনস্থাপন করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

৬. ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা: সিএএসই প্রকল্প এবং অন্যান্য প্রকল্পের বাস্তবায়নাধীন ট্রাফিক সিগন্যালগুলো দ্রুত ত্রুটিমুক্ত করে চালু করার উদ্যোগ নিতে হবে। চালু হওয়া ট্রাফিক সিগন্যাল দিয়ে করিডর ভিত্তিক রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে নিয়ম মোতাবেক যানবাহন ও পথচারী চলাচলের সঠিক উদ্যোগ নিতে হবে।

৭. ট্রাফিকে কারিগরি ইউনিটের ব্যবহার: ইতোমধ্যে সরকার ৩৯ জন জনবলের ডিএমপি ট্রাফিক কারিগরি ইউনিটের মঞ্জুরি প্রদান করেছে। দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে তাদের কাজে লাগাতে হবে।

৮. দক্ষ ড্রাইভার তৈরি করা: সারা বাংলাদেশে গাড়ির সংখ্যা আনুমানিক ৩৫ লাখ হলেও বৈধ ড্রাইভারের সংখ্যা আনুমানিক ১৮ লাখ। বৈধ ড্রাইভারের সংকট সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এ অবস্থা হতে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দক্ষ ড্রাইভার তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। বিআরটিএ কর্তৃক প্রশিক্ষিত ড্রাইভারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রম সহজ ও দ্রুত করতে হবে।

৯. বাস রুট ফ্রাঞ্জাইজ করা: সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে বাস রুট ফ্রাঞ্জিইজি করার বিষয়ে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তা বেগবান করতে হবে।

১০. বহুতল ভবনের ট্রাফিক ছাড়পত্র: ঢাকা শহরের ১০ তলার ওপরে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ডিএমপির ট্রাফিক শাখার ছাড়পত্র দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। দশ তলার নিচের ভবনসমূহের ক্ষেত্রেও ট্রাফিক ছাড়পত্র নেওয়া উচিত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কনভেনশন সেন্টার, কমিউনিটি সেন্টার, শপিং মল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান দশতলার ওপরে নাও হতে পারে। কিন্তু এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কারণে অধিক যানবাহন আনাগোনায় যানজট তৈরি হয়। এ ধরনের ভবন নির্মাণের পূর্বে ট্রাফিকের ছাড়পত্র নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে।

১১. বিভিন্ন সড়ক রিকশামুক্ত করা: মানসম্পন্ন বাস দিয়ে বিভিন্ন সড়কে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ওই সব সড়কে রিকশা তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। রাজধানীর মিরপুর রোড এবং উত্তরা-কুড়িল- বাড্ডা-মতিঝিল রুটে এ ধরনের বাস সার্ভিস দিয়ে দ্রুত রিকশা মুক্ত করতে হবে।

১২. স্কুলবাস চালু: শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো ও যানজট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট রঙয়ের স্কুলবাস সার্ভিস চালু করতে হবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থাটি চালুর বিষয়ে অনুরোধ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পারে।

১৩. রাইড শেয়ারিং: রাজধানীতে বর্তমানে রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এর সংখ্যা যাতে অনিয়মিতভাবে বৃদ্ধি না পায় সে বিষয়ে সিলিং নির্ধারণ করতে হবে। সিএনজি থ্রি-হুইলার মিটারে না গিয়ে কনট্রাক্টে যাওয়া বন্ধ করার লক্ষ্যে উবার অ্যাপস এর মাধ্যমে সিএনজি থ্রি-হুইলার যাত্রী পরিবহন করা যায় কিনা সেই বিষয়ে যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে হবে। মোটরসাইকেলে উবার-পাঠাও ব্যবস্থায় যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঢাকায় রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরসাইকেল ব্যবহার করা যায় কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

১৪. পুশ বাটন ব্যবস্থায় পথচারী পারাপার: পুশ বাটন ব্যবস্থা চালু করে পথচারী পারাপারের বিষয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে সিটি করপোরেশন এলাকা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

১৫. এলিভেটেড পার্কিং ব্যবস্থাপনা: ঢাকা শহরের মৎস্য ভবন এলাকায় ইতোমধ্যে এলিভেটেড পার্কিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরনের পার্কিং ব্যবস্থা চালু করে রাস্তায় অবৈধ পার্কিংসহ যানজট কমানো সম্ভব হবে।

১৬ যানবাহনের ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ: বিআরটিএ ডাটাবেজে যানবাহনের ডকুমেন্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষিত থাকে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা পিওএস মেশিন দিয়ে হালনাগাদ তথ্য পরীক্ষা করে মোটরযান আইন প্রয়োগ করে থাকেন। বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে হালনাগাদ তথ্য অনলাইনে নিয়মিত সরবরাহ করা হলে ডিএমপির পক্ষ থেকে সঠিকভাবে তথ্য যাচাই করে মোটরযান আইন প্রয়োগ সহজ হবে।

১৭. বিআরটিসির নতুন বাস দিয়ে ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়ন: বিআরটিসি বাস বহরে নতুন ৬০০ বাস আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে তিনশ দু’তলা দুইশ একতলা এসি, একশ একতলা ননএসি বাস রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্য হতে এসি বাসসহ অন্যান্য বাস দিয়ে ঢাকা শহরের নিম্নবর্ণিত কয়েকটি নির্দিষ্ট রুটে বাস সার্ভিস চলাচল চালু করা যেতে পারে। ক. ধানমণ্ডি-নিউমার্কেট-আজিমপুর চক্রাকার এসি বাস সার্ভিস, খ. মালিবাগ-খিলগাঁও-মতিঝিল চক্রাকার এসি বাস সার্ভিস, গ. উত্তরা-মতিঝিল এসি বাস সার্ভিস, ঘ. উত্তরা-সায়েদাবাদ এসি বাস সার্ভিস, ঙ. উত্তরা-গুলশান চক্রাকার এসি বাস সার্ভিস, চ. মিরপুর-ভুলতা এসি বাস সার্ভিস, ছ. গাবতলী-সদরঘাট, ভায়া-শ্যামলী-আসাদগেট-সাইন্সল্যাব-শাহবাগ-মৎস্যভবন-পল্টন-ফুলবাড়িয়া-সদরঘাট এসি বাস সার্ভিস, জ. উত্তরা-মতিঝিল, ভায়া- মহাখালী-সাতরাস্তা-মগবাজার-কাকরাইল চার্চ-নাইটেঙ্গেল-পল্টন-দৈনিক বাংলা-শাপসা চত্বর এসি বাস সার্ভিস। এ বিষয়ে ডিএমপির উদ্যোগ সভা আহ্বান করা হয়। ডিএমপির রুটগুলো বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি পাবে এবং যানজট কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১৮. কমিউটর ট্রেন ব্যবস্থার উন্নয়ন: ঢাকা-গাজীপুর ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ঘনঘন ট্রেন ব্যবস্থা চালু করে ঢাকা শহরের যানজট অনেকটা কমানো সম্ভব।

১৯. নির্মাণ সামগ্রীর অপ্রয়োজনীয় অংশ রাস্তা হতে দ্রুত অপসারণ: সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সংস্থা ঢাকা শহরের সড়কের উন্নয়ন কাজ করার পর অপ্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী, মাটি, বালি ইত্যাদি অনেক সময় দীর্ঘদিন সড়কে পড়ে থাকে। এতে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাশাপাশি যানজট হয়। ধুলা-বালি ও ময়লা দিয়ে পরিবেশ দূষিত হয়।

২০. আধুনিক করিডর: রাজধানীর এয়ারপোর্ট হতে জিরো পয়েন্ট (ভায়া ফার্মগেট) পর্যন্ত ভিআইপি সড়ককে আধুনিক করিডোর হিসেবে উন্নত করতে হবে। এজন্য সড়ক, ফুটপাত, মিডিয়ান, ফেন্সি, ফুটওভার ব্রিজ, রোড মার্কিং, ট্রাফিক সিগন্যাল ইত্যাদি সঠিক রাখতে হবে।

২১. পূর্ব-পশ্চিম বরাবর সড়ক চালু করা: ঢাকা শহরের অধিকাংশ বড় সড়কই উত্তর-দক্ষিণ বরাবর। ফার্মগেট-সাতরাস্তার মতো পূর্ব-পশ্চিম বরাবর সড়কে ভালো বাস ব্যবস্থা চালু করে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।

২২. স্টেকহোল্ডার গণের সমন্বয়ে বৈঠক: রাজধানীর সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারগণের সমন্বয়ে নিয়মিত বৈঠক করে নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

২৩. ইন্টারসেকশন ম্যানেজমেন্ট: ইন্টারসেকশন ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। এক্ষেত্রে স্টপ লাইন বরাবর গাড়ি দাঁড় করানো, জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পথচারী পারাপার, বাম লেন পরিষ্কার রাখা, ইলেকট্রনিক বা হাত সিগন্যাল দিয়ে নিয়ম অনুযায়ী গাড়ি চালানো ইত্যাদি ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।

২৪. ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার: পথচারীদের ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। এ বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, পুলিশ অথবা স্কাউট মোতায়েন করে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

২৫. হর্নের ব্যবহার সীমিতকরণ ও হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধ: যে কোনও যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অপ্রয়োজনে সাধারণ হর্ন বাজানোর বিষয়টিও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

২৬. মেট্রোরেলের কাজ চলাকালীন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা: মেট্রোরেলের কাজ চলাকালীন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ডিএমপি ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় মিটিং করে যে কার্যবিবরণী পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

২৭. ডিএনসিসি প্রস্তাবিত ইউলুপগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় কয়েকটি ইউলুপ তৈরির কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটির কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোও দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

২৮. জনসচেতনতামূলক প্রচারণা: ট্রাফিক আইন ও সড়কে শৃঙ্খলা বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন উপায়ে প্রচারণা চালাতে হবে। লিফলেট বিতরণ, পোস্টার ও ব্যানার টাঙানোর মাধ্যমে পথচারী ও চালকদের সচেতন করা যেতে পারে। প্রিন্ট মিডিয়াতে ট্রাফিক সচেতনতামূলক লেখা প্রচার করা যেতে পারে। ট্রাফিক সচেতনতামূলক নাটিকা, ফুটেজ, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা যেতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উপায়ে ট্রাফিক সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।

২৯. আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংয়ের যথাযথ ব্যবহার: ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন বহুতল ভবনে, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দু’পাশের ভবন যেমন- শপিংমল, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, বড় আবাসিক ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংগুলো অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়। এর ফলে ওই ভবনগুলোর নিচে গাড়ি পার্কিং না করে গাড়িগুলো মূল সড়কে পার্কিং করা হয়। এতে সড়কে যানজট তৈরি হয়। ইতোপূর্বে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ ধরনের ভবনের তালিকা রাজউককে দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে তালিকা ডিএমপির পক্ষ থেকে রাজউককে আবার দেওয়া হবে। অবস্থার পরিবর্তনে রাজউককে বহুতল ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ব্যবহারের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

তথ্যসুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন