শূন্য থেকে শীর্ষ শিল্পপতি যে ভাবে হলেন হারুনার রশিদ খান মুন্নু

শূন্য থেকে শীর্ষ শিল্পপতি। ৭৫ টাকা মুনাফা দিয়ে শুরু করে শীর্ষ শিল্পপতি হওয়াবাংলাদেশের অন্যতম শিল্প উদ্যোক্তা এবং মুন্নু গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ খান মুন্নু ।
হারুনার রশিদ খান মুন্নু তার গ্রামের ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে বাণিজ্য শাখায় প্রথম বিভাগ পেয়ে ম্যাট্রিক পাস করেন। তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ থেকে ১৯৫৪ সালে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি ৬০ টাকা বেতন আর ৩০ টাকা ভাতায় একটি চাকরি করেন সে সময়। বেতনের সেই টাকা থেকে মাসে ২০-৩০ টাকা করে বাড়িতে পাঠাতেন। ১৯৫৫ সালের ৩ আগস্ট হুরুন নাহার এর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৯৫৬ সালে বি.কম পাস করে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি কোর্স শেষ করেন তিনি।

আদমজীতে অডিট করার সময় সেখানকার এক কর্মকর্তা তাকে চাকুরির প্রস্তাব দিলেও তিনি ব্যবসার প্রতি তার আগ্রহের কথা জানান। প্রথম ব্যবসায় ২০ টাকার খাতা ২৩ টাকায় সরবরাহ করে তিনি ৭৫ টাকা মুনাফা করেন। সেই শুরু। এরপর আর তাকে পেছরে ফিরে তাকাতে হয়নি। খাতা সরবরাহ করে দুই বছরের মধ্যে নিজের প্রেস তৈরির টাকা হয়ে যায়। ঢাকার ওয়ারীতে প্রতিষ্ঠা করেন তার প্রথম শিল্প প্রতিষ্ঠান মুন্নু আর্টপ্রেস অ্যান্ড প্যাকেজিং।

ধীরে ধীরে গড়ে উঠে মুন্নু জুটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মুন্নু স্ট্যাস্পস লিমিটেড, মুন্নু সিরামিক্স, বন চায়না, মুন্নু ট্রেনিং কমপ্লেক্সসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান করেন।

শূন্য থেকে শীর্ষ শিল্পপতি মুন্নু তার নিজ জেলা মানিকগঞ্জের গিলন্ড এলাকার মুন্নু সিটিতে গড়ে তুলেছেন মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এছাড়া মুন্নু সিটিতে আছে মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মুন্নু নার্সিং ইনস্টিটিউট, মুন্নু ফেব্রিকস ও মুন্নু অ্যাটায়ার। নিজের জীবনের বড় উপার্জনই তিনি মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে উৎসর্গ করে গেছেন।

মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী হুরুন নাহার রশিদ, দুই কন্যা আফরোজা খান রিতা ও ফিরোজা মাহমুদ এবং কন্যাদের স্বামী-সন্তান রেখে গেছেন। তার বড় মেয়ে আফরোজা খান রিতা মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতিও তিনি।

লেখকঃ Ayumi Atsushi