অনলাইন ব্যাংকিংয়ে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের সুযোগ



অনলাইন ব্যাংকিংয়ে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের সুযোগঅনলাইন ব্যাংকিংয়ে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের সুযোগ, এখন থেকে এক ব্যাংকের গ্রাহক চাইলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকের কাছে অর্থ পাঠাতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহক ইচ্ছে করলে এই সুযোগ নিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ  বাংলাদেশ-এনপিএসবির মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফারের উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ডেপুটি গভর্নর এস.এম. মনিরুজ্জামান আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে পেমেন্ট কার্ড ব্যবসা করছে, এমন ৫৩টি ব্যাংকের মধ্যে এনবিএসবির সদস্য ৫১টি ব্যাংক। এর মধ্যে ছয়টি ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফারের কাজ শুরু করেছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার সুবিধা চালুর ফলে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাকাউন্ট, অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডে এবং ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড হতে অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করা যাবে। তাছাড়া, এর মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান, ডিপিএসের মাসিক কিস্তি জমা, ঋণের মাসিক কিস্তি জমা, ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম প্রদান, বিজনেস টু বিজনেস অর্থ প্রদান ইত্যাদি সেবা গ্রহণ আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও দ্রুততর হবে।

এছাড়াও ই-কমার্স বা ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ অনেকগুন বাড়বে। যা ই-কমার্সভিত্তিক নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে এ খাতের ব্যাপক প্রসারে সহায়ক হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.এম.মনিরুজ্জামান বলেন,‘একজন গ্রাহক প্রতিদিন সর্বোচ্চ পাঁচ বার এবং সব মিলিয়ে দিনে দুই লাখ টাকা লেনদেন করতে পারবেন।’ এসব লেনদেনে সাইবার ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংকগুলোকে আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে ব্যাংক গ্রাহকের সংখ্যা বাড়লেও সে অনুপাতে বাড়ছে না এটিএম বুথ। বর্তমানে আন্তঃব্যাংক লেনদেন ফি-ও অনেক বেশি। এটিকে সহনীয় পর্যায়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও দাবি রাখেন তারা।

সুত্রঃ banglatribune.com